শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২

হায় আফসোস, হায় আমার জাতি

এই সমাজের অধিকাংশ মানুষ এমনকি যারা 'মোটামুটি দ্বীনদার' তারাও আলিম-উলামা ও মসজিদের ইমাম সাহেবদেরকে দেখতে চান নিরীহ-অসহায় ও 'অতিভদ্র' প্রাণীরূপে!

উলামা সমাজের টাকা-পয়সা হবে, গাড়ি-বাড়ি হবে, বড় ব্যবসা-বাণিজ্য থাকবে, কিংবা অধিকার আদায়ে তারাও প্রতিবাদী হবেন— এ বিষয়টি উনারা সহ্যই করতে পারেন না!
কী যেন! হয়তো এসব কেবল উনাদেরই 'অলিখিত' অধিকার ..

ইব্রাহীম খলীল কাসেমী, ৩০.০৪.২০২২ খ্রিস্টাব্দ ৷

রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১

'অতি স্বাধীন' জীবন যাপন কি নিরাপদ?

'স্বাধীন' জীবন যাপনের নামে অবাধ বিচরণের রাস্তা কখনোই নিরাপদ রাস্তা নয় ৷ যে যত বেশি স্বাধীন, সে ততো বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ৷ কাজেই, জীবন চলার পথে নিজেকে এতটা স্বাধীন রাখতে হয় না ৷ কোন এক বিশেষজ্ঞের অধীনে নিজেকে কিছুটা হলেও পরাধীন করে রাখা বেশ নিরাপদ ৷

দেখুন না, ফেসবুকে আমরা যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারি! যা ইচ্ছে তাই কমেন্ট করতে পারি! কেউ বাধা দেয় না ৷ এখানে আমরা অনেকটা স্বাধীন! ফলে, অনেক বনী-আদম-ই অহংকার, বে-আদবী ও অন্যায় রাস্তা অবলম্বন করছে আর যথেচ্ছা লিখে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত! সাহস নিয়ে বলা যায়, এটা লেখালেখির 'অতি স্বাধীন' প্ল্যাটফর্মের কুফল ৷

আবার দেখুন, সমাজে যেই ছেলে কিংবা মেয়েকে শাসন করার মতো কেউ না থাকে, মানে 'অতি স্বাধীন' জীবন যাপন করে, সেই ছেলে কিংবা মেয়েটা 'কখনোই' অথবা 'অধিকাংশ সময়' সভ্য ও ভদ্র হয়ে ওঠে না, উঠতে পারে না! এগুলো কী?! দম নিয়ে বলতে পারেন- এই সবকিছুই 'অতি স্বাধীন' জীবন যাপনের কুফল!

কাজেই, প্রিয় ভাই ও বোন!
কিছু বলতে কিংবা লিখতে ইচ্ছে হলো; সাথে সাথেই তা বলবেন না বা লিখবেন না যেন! একটু ভেবে দেখবেন, তা ধর্ম, নীতি ও ইনসাফের মানদণ্ডে ঠিক আছে কি না! আরেকটি পরামর্শ, অবশ্যই আল্লাহভীরু কোন এক বিশেষজ্ঞের পরামর্শকে জীবন চলার পাথেয় বানিয়ে নিন!
মনে রাখবেন, এতটা স্বাধীন জীবন যাপন আপনার জন্য নিরাপদ নয়, হে প্রিয়!

তারিখ: ১৮/০৭/২০২১ খ্রি:
সময়: রাত ১০টা ৩০ মিনিট ৷

মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১

আপনারও কি এমন হয়? ..

* আগে নামাজ কালাম ভালো লাগতো, এখন তেমন একটা ভালো লাগছে না!

* আগে আলেম-ওলামাকে আপন মনে হতো, এখন কেমন কেমন যেন লাগে!

* আগে সুন্নতি পোশাক-আশাক মনে-প্রাণে ভালো লাগতো, এখন কেমন কেমন যেন লাগে!

* আগে গোনাহ হয়ে গেলে খারাপ লাগতো, এখন তেমনটা অনুভব হয় না!

* আগে নিজের দোষগুলো খোঁজা হতো, এখন অন্যদের দোষ খুঁজতে বেশি ইন্টারেস্ট অনুভব হয়!

* আগে ধর্মের আলোকে দল/মত/চিন্তা/মিশনকে যাচাই করা বা মাপা হতো, এখন দল/মত/চিন্তা/মিশন দিয়ে ইসলামকে মাপা হচ্ছে!

* আগে আমার ভুল কেউ ধরিয়ে দিলে সংশোধন হওয়ার চেষ্টা করতাম, এখন কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে মেজাজ খারাপ হয়!

তাহলে শুনুন!
ভাইরে, আপনি মহাবিপদ সীমার উপরে দাঁড়িয়ে আছেন!
সেদিন কাঁদবেন,
যেদিন দেখবেন- হায়াত ফুরিয়ে গেছে অথচ আমল করা হয়নি!

০৬/০৪/২০২১ খ্রিস্টাব্দ ৷
মাগরিবের কিছু পূর্বে, নিজ রুমে ৷

সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আজব দুনিয়ার অদ্ভূত জনতা!

কী অদ্ভূত বিচার!
আজব এক জগতের বাসিন্দা মোরা! ..

এই যুগে 'পাওনাদার'দের থাকতে হয় অপরাধীর মত;
আর 'কতক' অসভ্য ঋনী-গুণীজনদের দেখা যায়–
নিশ্চিন্তমনে বুক ফুলিয়ে চলে-বলে ওরা নির্লজ্জের মত !
আসলে ওদের অভাব নয়; স্বভাবে পঁচন ধরেছে যে ! ..

" কোটি টাকা দানের আগে, এক টাকা ঋন্ পরিশোধ উত্তম ৷ "

শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০

ভালো মানুষের সন্ধানে (১)

" এই সমাজের অধিকাংশ
মানুষের লেনদেন খারাপ! "

হোক সাধারণ পাবলিক কিংবা
আলেম-উলামা .. একই হালত !

কী হবে এত শিক্ষা-দীক্ষা আর লকব-
উপাধি দিয়ে ! 'লেনদেন সাফ' একজন
ভালো মানুষই যদি না হতে পারলাম !

রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

ভালো মানুষদের জন্য দু'আ

ভালো মানুষগুলোর জন্য বেশি বেশি দু'আ করা চাই– আল্লাহ যেন তাদেরকে আমৃত্যু 'ভালো মানুষ' হিসেবেই বাঁচিয়ে রাখেন!

কারণ; তাঁরা নস্ট হয়ে গেলে সাধারণ জনতা 'ভেতর থেকে' নস্ট হয়ে যায়!

শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০

হায়, জাতি যদি বুঝতো!

ইউটিউব দেখে এবং পিডিএফ বই পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হলে বাড়ীর অবস্থা তো এমনই হবে!
তদ্রুপ ইউটিউব হুজুরদের বয়ান শুনে আর নিজে নিজে বাংলা বুখারী পড়ে আমল করলে ঈমানের অবস্থা এর চেয়েও করুণ হবে!

অতএব আসুন,
দীনি ইলম অর্জন করি সিনা থেকে সিনায়!

অন্যথায়, শেখা যাবে হয়তো অনেক কিছুই–
কিন্তু আচারে-আচরণে, পোশাকে-পরিচ্ছদে ও নববী আখলাক দিয়ে জীবনটাকে সাজানো দুরহ ব্যাপার!

শনিবার, ২০ জুন, ২০২০

কোনকিছুই আর আগের মত নেই!

কী এক অস্থির সময় কাটছে!
কোনকিছুই আর আগের মত নেই!

কখন, কাকে, কোথায় এবং কীভাবে না জানি
বিদায় নিতে হবে প্রিয়জনদের ছেড়ে, ঐ পাড়ে!

তবুও স্বপ্ন দেখি, আরেকটি সুন্দর প্রভাতের ..

শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

সন্তানের প্রতি এক বাবার লেখা ..

বাবা হলেন একজন চাইল্ড সাইকোলজিষ্ট এবং হংকং-এর প্রখ্যাত টিভি সম্প্রচারকারী। তার কথাগুলো বয়োজ্যেষ্ঠ, বয়োকনিষ্ঠ, বৃদ্ধ কিংবা তরুণ, শিশু, আমাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য। চিঠিটি বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। ভালো লাগলে আপনার সন্তানদেরও পড়তে দিন।

মনে রাখতে হবে এই চিঠিতে আল্লাহ, মানুষ সৃষ্টিতে আল্লাহর উদ্দেশ্য, মানুষের নিজের দায় এবং দায়িত্ব ইত্যাদি তৌহিদভিত্তিক অনেক বিষয়ই অনুপস্থিত। নিছক বস্তুবাদী চিন্তা ও অভিজ্ঞতা এবং সন্তানের কল্যাণকামিতা থেকেই এই চিঠি লেখা হয়েছে।
——————————————-

প্রিয় সন্তান,

আমি তোমাকে ৩ টি কারনে এই চিঠিটি লিখছি...
১। জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদিন বাঁচবে।
২। আমি তোমার বাবা, যদি আমি তোমাকে এই কথা না বলি, অন্য কেউ বলবে না।
৩। যা লিখলাম, তা আমার নিজের ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতা- এটা হয়তো তোমাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।

জীবনে চলার পথে এগুলো মনে রাখার চেষ্টা করো:

১। যারা তোমার প্রতি সদয় ছিল না, তাঁদের উপর অসন্তোষ পুষে রেখো না। কারণ, তোমার মা এবং আমি ছাড়া, তোমার প্রতি সুবিচার করা কারো দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আর যারা তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে - তোমার উচিত সেটার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং কৃতজ্ঞ থাকা। তবে তোমার সতর্ক থাকতে হবে এজন্য যে, প্রতিটি মানুষেরই প্রতি পদক্ষেপের নিজ নিজ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। একজন মানুষ আজ তোমার সাথে ভালো- তার মানে এই নয় যে সে সবসময়ই ভালো থাকবে। কাজেই খুব দ্রুত কাউকে প্রকৃত বন্ধু ভেবো না।🌸

২। জীবনে কিছুই কিংবা কেউই "অপরিহার্য" নয়, যা তোমার পেতেই হবে। একবার যখন তুমি এ কথাটির গভীরতা অনুধাবন করবে, তখন জীবনের পথ চলা অনেক সহজ হবে - বিশেষ করে যখন বহুল প্রত্যাশিত কিছু হারাবে, কিংবা তোমার তথাকথিত আত্মীয়-স্বজনকে তোমার পাশে পাবে না। 🌸

3. জীবন সংক্ষিপ্ত।
আজ তুমি জীবনকে অবহেলা করলে, কাল জীবন তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে। কাজেই জীবনকে তুমি যতো তাড়াতাড়ি মূল্যায়ন করতে শিখবে, ততোই বেশী উপভোগ করতে পারবে। 🌸

৪. ভালবাসা একটি ক্ষণস্থায়ী অনুভূতি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষের মেজায আর সময়ের সাথে সাথে এই অনুভূতি বিবর্ণ হবে। যদি তোমার তথাকথিত কাছের মানুষ তোমাকে ছেড়ে চলে যায়, ধৈর্য ধরো, সময় তোমার সব ব্যথা-বিষন্নতা কে ধুয়ে-মুছে দেবে। কখনো প্রেম-ভালবাসার মিষ্টতা এবং সৌন্দর্যকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না, আবার ভালবাসা হারিয়ে বিষণ্ণতায়ও অতিরঞ্জিত হবে না।🌸

৫. অনেক সফল লোক আছেন যাদের হয়তো উচ্চশিক্ষা ছিল না- এর অর্থ এই নয় যে তুমিও কঠোর পরিশ্রম বা শিক্ষালাভ ছাড়াই সফল হতে পারবে! তুমি যতোটুকু জ্ঞানই অর্জন করো না কেন, তাই হলো তোমার জীবনের অস্ত্র। কেউ ছেঁড়া কাঁথা থেকে লাখ টাকার অধিকারী হতেই পারে, তবে এজন্য তাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।🌸

৬. আমি আশা করি না যে, আমার বার্ধক্যে তুমি আমাকে আর্থিক সহায়তা দিবে। আবার আমিও তোমার সারাজীবন ধরে তোমাকে অর্থ সহায়তা দিয়ে যাব না। যখনি তুমি প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখনি বাবা হিসেবে আমার অর্থ-সহায়তা দেবার দিন শেষ। তারপর, তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- তুমি কি পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করবে, নাকি নিজস্ব লিমুজিন হাঁকাবে; গরীব থাকবে নাকি ধনী হবে। 🌸

৭. তুমি তোমার কথার মর্যাদা রাখবে, কিন্তু অন্যদের কাছে তা আশা করো না। মানুষের সাথে ভালো আচরন করবে, তবে অন্যরাও তোমার সাথে ভালো থাকবে- তা প্রত্যাশা করবে না। যদি তুমি এটি না বুঝতে পারো, তবে শুধু অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণাই পাবে। 🌸

৮. আমি অনেক বছর ধরে লটারি কিনেছি, কিন্তু কখনও কোন পুরষ্কার পাইনি। তার মানে হলো এই যে- যদি তুমি সমৃদ্ধি চাও তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিনামূল্যে কোথাও কিছু জুটবে না। 🌸

৯. তোমার সাথে আমি কতোটা সময় থাকবো- সেটা কোন ব্যাপার না। বরং চলো আমরা আমাদের একসাথে কাটানো মুহুর্তগুলো উপভোগ করি ...মূল্যায়ন করি।

শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সবার জন্য পরামর্শ–১৩

বিষয়: পাত্রী চয়ণ
বিয়ে ৷ বহু প্রতীক্ষীত ও আকাঙ্খীত একটি
পবিত্র বন্ধনের নাম! কার না সাধ জাগে এই
পবিত্র বন্ধনে নিজেকে আবদ্ধ করতে! তবে,
বিয়ে যে সবসময়ই শুভ হয় তা নয়, অশুভও
হয় মাঝে মাঝে! পাত্রী চয়ণে তাই হুঁশিয়ার ৷

পাত্রী চয়ণে সাধারণতঃ যে ভুলটা প্রায়শঃই
আমরা করে থাকি, চেহারা পছন্দ হলে অন্য
কোন বিষয় আমরা আর সামনে আনি না বা
দেখার প্রয়োজন মনে করি না ৷ কী সাধারণ
পাবলিক, কী বিশেষ পাবলিক– সবাই প্রায়
বাহ্যিক সৌন্দর্যে ও লাবণ্যে মাতোয়ারা ৷ ...
ফলাফল, দূর্বিসহ ও দুঃসহনীয় জীবন যাপন!
অনেকের ক্ষেত্রেই আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি
ও যথেষ্ট উপলব্ধি করেছি! আল্লাহ রহম করুন ৷

বাহ্যিক সৌন্দর্যের দরকার আছে, তা অস্বীকার
করার কোন উপায় কারো নেই! তবে, এটাই কি
একমাত্র দরকার ও লক্ষণীয় বিষয় হতে পারে?!
সঠিক পাত্রী চয়ণে আরো কিছু বিষয় লক্ষ্য
করা জরুরী মনে করি, যেমন: পাত্রীর আখলাক
চরিত্র সম্পর্কে খবর নেয়া, সাধারণ জ্ঞানের
পরীক্ষা নেয়া, তার মা-বাবার দ্বীনদারিতার
খবর নেয়া, বিশেষভাবে তার মায়ের ! হ্যাঁ,
তার মায়ের দ্বীনদারিতার খবর বিশেষভাবে নেয়া ৷
পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি রাখা ও থাকার
জ্ঞান অনেক মেয়েরই থাকে না ৷ যেটা খুব
জরুরী ৷ যাইহোক, এগুলো একটি মেয়ের
জন্য যেমন জরুরী, একজন ছেলের জন্যও তেমন
জরুরী ছিল ৷ যদি সবাই বুঝতে পারি ৷
পাত্রী ও পাত্র চয়ণে কেউ ভুল না করি,
সাধের দাম্পত্য জীবন সবার সুখের হোক ৷